Sale!

সাম্মাম ফলের বীজ

Original price was: ৳ 550.00.Current price is: ৳ 250.00.

সাম্মাম ফল, যা ইংরেজিতে “watermelon” এবং “muskmelon” নামে পরিচিত, মূলত একটি গ্রীষ্মকালীন ফল। এর উৎপত্তি স্থান আফ্রিকার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে, যেখানে প্রথম এটি চাষ করা হয়। সাম্মাম ফলের বৈজ্ঞানিক নাম “Citrullus lanatus” এবং এটি গন্ডের সদস্য। বিভিন্ন ধর্ম এবং সংস্কৃতির মধ্যে সাম্মাম ফলের একটি বিশেষ স্থান রয়েছে। ইসলামী সংস্কৃতিতে, এটি রমজান মাসের সময় অত্যন্ত জনপ্রিয়, কারণ এটি প্রচুর জলীয় অংশযুক্ত এবং শরীরকে তৃষ্ণা নিবারণে সহায়তা করে।ভিন্ন ভিন্ন দেশে এই ফলটি বিভিন্ন নামে পরিচিত। উদাহরণস্বরূপ, ভারত এবং বাংলাদেশের বাংলায় এটি “সাম্মাম” হিসেবে পরিচিত, অন্যদিকে ইংরেজিতে “watermelon” বলা হয়। এই ফলের বিখ্যাত কয়েকটি প্রজাতির মধ্যে জাম্বো, ক্যানারি, ওয়াটারমেলন এবং ক্যান্টালোপ রয়েছে। সাম্মাম ফলের মধ্যেও ভিন্ন ভিন্ন জাত দেখা যায়, যার মধ্যে রয়েছে লম্বা, গোল এবং বিশেষ করে রঙের বৈচিত্র্য।এই ফলটি আরব দেশগুলোতে জনপ্রীয় হওয়ার অন্যতম কারণ হলো এর তাজা স্বাদ এবং দ্রুত পুষ্টির যোগান। প্রচুর জলীয় অংশ থাকার কারণে এটি গ্রীষ্মকালে শরীরকে শীতল রাখে এবং ক্লান্তি কমাতে সহায়তা করে। এছাড়াও, সাম্মাম ফলের পুষ্টিগুণ যেমন ভিটামিন সি, ভিটামিন এ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপযোগিতা এর জনপ্রিয়তার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফলস্বরূপ, এর চাষ এবং ব্যবহারের বিধান বিভিন্ন দেশে ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে।

Description

সাম্মাম ফলের পুষ্টিগুণ

সাম্মাম ফল, যা রকমেলন বা মাস্কমেলন নামেও পরিচিত, পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি ফল। এটি বিশেষভাবে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, এবং লিউটেন উপস্থিত করে, যা শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। এর মধ্যে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ মিনারেলস যেমন পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, এবং ক্যালসিয়াম, যা হৃদয় ও পেশী স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।এছাড়া, সাম্মাম ফল জলীয় পদার্থে সমৃদ্ধ, যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সহায়ক। এক কাপ সাম্মাম ফলের মধ্যে প্রায় 90% পানি থাকে, যা গরমের মৌসুমে একটি প্রয়োজনীয় প্রফুল্লতা এনে দেয়। ফলটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসের উৎস হিসেবেও পরিচিত, যা শরীরকে ফ্রি র্যাডিক্যালস থেকে রক্ষা করে এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সহায়তা করে।স্বাস্থ্যকর ডায়েটে সাম্মাম ফল সংযোজন অত্যন্ত সুবিধাজনক। ফলটিকে স্যালাড, স্মুদি বা ডেসার্টে যোগ করা যায়, এবং এটি প্রচুর পরিমাণে ফাইবারও সরবরাহ করে। ফাইবার পাচনক্রিয়াকে উন্নত করে এবং শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। সাম্মাম ফলের স্বাস্হ্য উপকারিতা শুধু শরীরের পুষ্টিগুণেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক, চর্বি কমাতে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে প্রচুর সাহায্য করে।এই ফলটি গর্ভবতী মহিলাদের জন্যও উপকারী, কারণ এটি কিডনির স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং শরীরের ক্ষতিকারক টক্সিন বের করে দেয়। সাম্মাম ফল ঠাণ্ডার সিজনে সর্দি-জর্দি প্রতিরোধে বা কাটাতে উপকারী। এর পুষ্টিগত গুণাগুণ মানবদেহের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ন।

সাম্মাম ফলের চাষাবাদ

সাম্মাম ফল বা মাস্কমেলনের চাষের জন্য সঠিক জমির নির্বাচন একটি অপরিহার্য পূর্বশর্ত। সাধারণত, সাম্মাম ফলের জন্য উষ্ণ ও সূর্যযুক্ত স্থান নির্বাচন করা হয়, যেখানে পর্যাপ্ত পানি নিকাশের সুবিধা রয়েছে। জমির মাটি লুজ, দ্রবণীয় ও পুষ্টিতে সমৃদ্ধ হওয়া উচিত। সূপের মাটি অথবা বেলে মাটি সাম্মামের চাষের জন্য যথেষ্ট উপযুক্ত।বীজ বপন করার জন্য সাধারণত ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে মার্চের মাঝ পর্যন্ত সময়টি উপযুক্ত। এই সময়ে, মাটি আরও উষ্ণ এবং সহজে চাষ করার উপযোগী থাকে। প্রতিটি বীজের জন্য ১২০ থেকে ১৫০ সেমি দূরত্ব বজায় রেখে গর্ত তৈরী করতে হবে এবং গর্তে ২ থেকে ৩টি বীজ বপন করতে হবে। বীজ গুলি বপনের পর পানি দিতে হবে এবং তারপর মাটি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।সাম্মাম ফলের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত পানি দিতে হবে, তবে অতিরিক্ত জল জমা হয়ে গেলে রোধ করতে হবে। ফলের প্রাথমিক বৃদ্ধি পর্যায়ে সার প্রদান করা উচিত যেন তা যথেষ্ট পুষ্টি পেতে পারে। পোকা-মাকড় থেকে রক্ষা করতে পতঙ্গনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে এবং জৈব পদ্ধতি অবলম্বন করাও সম্ভাব্য একটি বিকল্প।সাম্মাম ফলের সফল চাষাবাদে আবহাওয়ার ব্যবস্থা একটি বড় ভূমিকা পালন করে। সাম্মাম ফলের জন্য উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়া সবচেয়ে ভালো। সাধারণত, ২০ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা এই ফলের চাষের জন্য আদর্শ। এই সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে, সাম্মাম ফলের উৎপাদন বৃদ্ধি ও উন্নত করার জন্য একটি পরিকল্পিত ও পর্যাপ্ত পদ্ধতি গ্রহণ করা প্রয়োজন।

সাম্মামের ব্যবহার এবং প্রস্তুতির পদ্বতি

সাম্মাম ফলের স্বাদের বৈচিত্র্য এবং পুষ্টিগুণের কারণে এটি বিভিন্ন প্রস্তুতির জন্য জনপ্রিয়। বাজারে উপলব্ধ সাম্মাম থেকে শুরু করে, বিভিন্ন জুস, স্মুদি, এবং সালাদ তৈরি করা যেতে পারে। সাম্মাম জুস প্রস্তুতির জন্য, প্রাথমিকভাবে ফলটি খোসা ছাড়িয়ে তার আঁটি ও বীজগুলো বাদ দিতে হবে। পরবর্তীতে, একটি ব্লেন্ডারে সাম্মাম টুকরা যোগ করে প্রয়োজন অনুযায়ী জল এবং মিষ্টি স্বাদ দিতে চাইলে চিনিও যোগ করা যায়। জুস প্রস্তুতির এই স্টেপ সম্পন্ন হলে, মেশানো মিশ্রণটি ছেঁকে কাচের গ্লাসে পরিবেশন করা হয়।স্মুদি তৈরির ক্ষেত্রে, সাম্মাম ফলের টুকরা কেবল কোষ্ঠকাঠিন্য শোধনই করে না, বরং এটি একটি গাঢ় এবং ক্রিমি ভিজ্যুয়ালও প্রদান করে। স্মুদি প্রস্তুতির জন্য, মিশ্রণে সাম্মাম ফলের টুকরা সহ কিছু দই এবং বরফ যোগ করা হয়, যা একটি তাজা অনুভূতি তৈরি করে। সাধারণত এই স্মুদিটি সকালের নাস্তার জন্য বা বিকেলের নাস্তা হিসাবে পরিবেশন করতে পারা যায়।সাম্মাম সালাদে ব্যবহার করার জন্য, পরীক্ষামূলকভাবে টুকরা করা ফলটি অন্য তাজা সবজির সাথে মিশানো হয়। উদাহরণস্বরূপ, শসা, টমেটো এবং পেঁয়াজের সঙ্গে সাম্মাম মেশালে একটি খুব স্বাস্থ্যকর এবং রুচিশীল সালাদ পাওয়া যায়। অতিথিদের জন্য পরিবেশন করতে হলে রং-বহুল উপাদান ব্যবহার করে একটি আকর্ষণীয় থালে সাজান। এই ফলের মিষ্টি স্বাদ এবং তাজা অনুভূতি যেকোন খাবারের সাথে যুক্ত হতে সক্ষম, যা খাবারকে আরও মজাদার করে তোলে। সাম্মামের বহুমূখী ব্যবহারের সম্মিলনে এটি প্রতিটি অনুষ্ঠানের জন্য একটি আদর্শ উপাদান হয়ে উঠতে পারে।